সূরা ইয়াসীনের ফযীলত ও গুরুত্ব কুরআন ও হাদিসের আলোকে।

সূরা ইয়াসীনের ফযীলত ও গুরুত্ব কুরআন ও হাদিসের আলোকে।







প্রিয় দ্বীন প্রেমিক ও ইসলাম প্রিয় ভাই বোনেরা। আজ আপনারা জানতে পারবেন সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত।
তাহলে চলুন মূল আলোচনায় চলে যাই। আল্লাহ আমাদের ধৈর্য ধরে পড়ার তাউফিক দান করুন।



হাদীস শরিফে নবী করীম ( সঃ ) এরশাদ করেন ,

"সূরা ইয়াসীন হলাে কোরআন করীমের অন্তর । যে ব্যক্তি একে শুধু আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি এবং আখেরাতের উদ্দেশে পড়বে , নিশ্চয় তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং ঐ সূরা মৃত ব্যক্তিদের নিকট ( তাদের মৃত্যুর সময় ) পড়। "

- ( নাসায়ী )


হাদীস শারিফে আছে।
হযরত আবু যর ( রাঃ ) বর্ণনা করেন , মরণােন্মুখ ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসীন পাঠ করা হলে তার মৃত্যু সহজ হয় ।

- ( মাযহারী ) ।


হাদীসে আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর ( রাঃ ) বলেন , যদি কোন ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন তার অভাব অনটনে পাঠ করে তবে তার অভাব পূরণ হয়ে যায় । - ( মাযহারী ) ।


অন্য হাদীসে আছে, ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন , যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে , সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে শান্তিতে থাকবে । তিনি আরও বলেন , আমাকে এ বিষয়টি এমন এক ব্যক্তি বলেছেন যিনি এর বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন ।

- ( মাযহারী ) ।




এরকম আরো অনেক হাদিস রয়েছে।

 হযরত মাকাল ইবনে ইয়াসারের ( রঃ ) রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেন , সূরা ইয়াসীন কোরআনের হৃৎপিণ্ড । এই হাদীসে আরও আছে , যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন আল্লাহ ও পরকালে কল্যাণলাভের নিয়তে পাঠ করে , তার মাগফেরাত হয়ে যায় , তােমরা তোমাদের মৃতদের উপর এ সূরা পাঠ কর ।

- ( রূহুল মাআনী , মাযহারী )



ইমাম গাযযালী ( রহঃ ) বলেন , সূরা ইয়াসীনকে কোরআনের হৃৎপিণ্ড বলার কারণ এমনও হতে পারে যে , এ সূরায় কেয়ামত ও হাশর - নশরের বিষয় বিশদ ব্যাখ্যা ও অলংকার সহকারে বর্ণিত হয়েছে ।

পরকালে বিশ্বাস ঈমানের এমন একটি মূলনীতি , যার উপর মানুষের সকল আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল । পরকালভীতিই মানুষকে সঙ্কর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অবৈধ বাসনা ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে । অতএব দেহের সুস্থতা যেমন অন্তরের সুস্থতার উপর নির্ভরশীল , তেমনি ঈমানের সুস্থতা পরকাল চিন্তার উপর নির্ভরশীল ।

( রুহুল - মা ' আনী )


এ সূরার নাম যেমন সূরা ইয়াসীন প্রসিদ্ধ , তেমনি এক হাদীসে এর নাম ‘ আযীমা ’ ও বর্ণিত আছে । অপর এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে , তাওরাতে এ সূরার নাম “ মুয়িম্মাহ " বলে উল্লিখিত আছে । অর্থাৎ , এ সূরা তার পাঠকের জন্যে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ বরকত ব্যাপক করে দেয় ।

এ সূরার পাঠকের নাম “ শরীফ ” বর্ণিত আছে । আরও বলা হয়েছে , কেয়ামতের দিন এর সুপারিশ "রবীয়া ” গােত্র অপেক্ষা অধিক সংখ্যক লােকের জন্যে কবুল হবে ।



learning quran basic part-1

কুরআন শিক্ষা কোর্স । সুরা ফিল শিখুন






কতক রেওয়ায়েতে এর নাম "মুদাফিয়া " ও বর্ণিত আছে । অর্থাৎ এ সূরা তার পাঠকদের থেকে বালা - মসিবত দূর করে । কতক রেওয়ায়েতে এর নাম কাযিয়াও উল্লিখিত হয়েছে । অর্থাৎ এ সূরা পাঠকের প্রয়ােজন মিটায় ।

-- ( রুহুল মা ' আনী )




তাই আমাদের উচিত নিয়মিত এই সুরা তিলাওয়াত করা। ফজরের পর এই সুরা তিলাওয়াত না করে কোনো কাজ শুরু না করা উচিত।  কারন পরে আর পড়া হবে না।


সুরা ইয়াসিন পড়লে সেদিনের সব কাজ আল্লাহ সহজ করে দিবেন। এটা পরীক্ষিত।  আমল করুন আল্লাহ কবুল করলে এর ফল ইহকাল ও পরকালে পাবেন ইনশাল্লাহ।


সূরা আর রাহমানের ফজিলত ও গুরুত্ব



নিজের সন্তান স্ত্রীদের সুরা ইয়াসিন শিক্ষা সদিন কেননা মৃত্যুকালে তারা আপনার জন্য সুরা ইয়াসিন পড়ে পড়ে দুয়া করবে। তাছাড়া নারীরা প্রসবকালে সুরা ইয়াসিন পড়তে পারবে , সূরা ইয়াসিনের ফজিলতে হয়ত আল্লাহ তায়ালা প্রসব বেদনা কমিয়ে দিবেন বা সহজ করে দিবেন। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ রক্ষা করবেন । বেবি পেটে আসার পর থেকে এই সুরার আমল নিয়মিত করলে আল্লাহ তায়ালা এর বরকতে সিজার থেকে রক্ষা করে দিতে পারেন । কেননা এই সুরার আমল করলে আল্লাহ সব কাজ সহজ করে দেন। 



তাছাড়া যে যত বেশি এই সুরা তিলাওয়াত করবে কিয়ামতের দিন এই সুরা তার পক্ষে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট তার মাগফিরাতের জন্য শুপারিশ করবে। তাই সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি পড়ুন । অর্থসহ পড়ার অনু্রোধ  রইল।

২টি মন্তব্য:

enot-poloskun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.