সূরা মুলকের ফজিলত 

সূরা মুলকের ফজিলত 

সূরা মুলকের ফজিলত হাদীসের আলোকে 

নবী করীম (সঃ) এরশাদ করেন, মৃত ব্যক্তির কবরে (আযাবের ফেরেশতা) যখন পায়ের দিক হতে আযাব নিয়ে আসে তখন তার পা বলে, তুমি এদিক হতে আসতে পারবে না। কারণ এ ব্যক্তি আমার উপর ভর করে (নামাযে দাঁড়িয়ে) সূরা মুল্ক পড়ত। অতঃপর বুকের দিক হতে এবং পেটের দিক হতেও (ফেরেশতা আযাব নিয়ে) আসে (তারাও এভাবে বাধা দেয়)। এরপর মাথার দিক হতে আসে। সকল অংগ এটাই বলে দেয়, তুমি এ পথে আসতে পারবে না, কারণ এ ব্যক্তি সূরা মুল্ক পড়ত। মোট কথা, এ সূরা তার পাঠকারীকে আযাব হতে বাঁচিয়ে দেয়। এ সূরা এবং তার ফযীলত তাওরাতেও উল্লেখ আছে। যে ব্যক্তি এ সূরা রাতে পড়ল সে অনেক কিছু এবং অনেক উত্তম আমল করল। - (মুছতাদরাকে হাকেম)

সূরা মুলকের ফজিলত সম্পর্কে হাদীস 

 নবী করীম (সঃ) এরশাদ করেন, আমার মনের বাসনা, সূরা মুল্ক প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে থাকুক। অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলমান যেন একে অবশ্যই মুখস্থ করে নেয় এবং পড়ে। - (মুছতাদরাকে হাকেম)।

সূরা মুলকের ফজিলত সম্পর্কে হাদীস

 নবী করীম (সঃ) এরশাদ করেন, সূরা মুল্ক-এর ত্রিশটি আয়াত (সব সময় তার তেলাওয়াতকারী ব্যক্তির জন্য) এত বেশী সুপারিশ করতে থাকে যে, অবশেষে ঐ ব্যক্তির গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। অপর এক হাদীসের বর্ণনা এরূপ, তেলাওয়াতকারীর ক্ষমার জন্য সূরাটি ঐ পর্যন্ত আবেদন করতেই থাকে যতক্ষণ না ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।

 ( ইবনে হাব্বান) 

সূরা আর রাহমানের ফজিলত ও গুরুত্ব

সূরা মুলককে হাদীসে মানেআ ও মুনজিয়া বলা হয়েছে। মানেআ শব্দের অর্থ রোধকারী এবং মুনজিয়া শব্দের অর্থ মুক্তিদানকারী। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,

هِيَ الْمَانِعَةُ الْمُنْجِةٌ تُنَجِّيَةٌ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ القبر

 

অর্থাৎ সূরা মুলক পাঠের আমল আযাব প্রতিরোধ করে এবং আযাব থেকে মুক্তি দেয়। যে ব্যক্তি ফজিলপূর্ণ  মুলক সূরা পাঠ করবে , তাকে  সূরা মুলক সুপারিশ করার মাধ্যমে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে। -(কুরতুবী)

সূরা ইয়াসীনের ফযীলত ও গুরুত্ব

 হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: 

আমার আন্তরিক বাসনা, সূরা মুলক প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে গ্রথিত থাকুক। 

হযরত আবু হুরায়রার (রাঃ) রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলার কিতাবে একটি সূরা আছে, যার আয়াত তো মাত্র ত্রিশটি, কিন্তু কেয়ামতের দিন এ সূরা এক এক ব্যক্তির পক্ষে সুপারিশ করবে এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে দাখিল করবে। সেটা হলো সূরা মুলক।

(কুরতুবী)