কোন খাবার খেলে ওজন বাড়ে আবার কোন খাবার খেলে ওজন কমে
কোন খাবার খেলে ওজন বাড়ে আবার কোন খাবার খেলে ওজন কমে
আসসালামু আলাইকুম।
সনাইকে শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের লেখাটি। আজ আমরা জানব আমাদের শরীরের কোন কোন খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। আবার কোন কোন খাবার খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় চলে যাই।
ওজন বাড়ে কোন কোন খাবার খেলে
এক এক জন মানুষের শরীরের এক এক ধরনের বৈশিষ্ট্য। ফলে মানুষের খাবারের কাজ একেকজনকে একেক রকম উপকারিতা দিয়ে থাকে। আমরা অনেক সময় দেখি কেউ বেগুন ভাজি খেলে তার এলার্জি হয় আবার দেখা যায় পাশের বন্ধু দিব্বি বেগুন খেতে পারে কিন্তু তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অনুরূপ ভাবে আমরা যে খাবারগুলোর নাম এখানে শেয়ার করব এগুলো অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারো কারো ক্ষেত্রে হয়ত এর প্রভাব নাও হতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে মানুষের মোটা হওয়ার একটি সময় আছে। কিছু কিছু মানুষ দেখা যায় অনেক খায় কিন্তু তার আর স্বাস্থ্য বাড়ে না অর্থাৎ শরীর আর মোটা হয় না। তাদের শরীর শক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন আর মোটা হবেনা। তবে অতিরিক্ত ঘুম আর খাওয়া দাওয়া করলে শরীর এর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমতে পারে যেটা দেখতে সাময়িক মোটা হলেও ক্ষতি অনেক বেশি।
যে খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়
চিনি,ঠান্ডা পানি,ভাত বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে। ঘুম থেকে উঠে অতিরিক্ত পানি খেলে পেট বাড়তে পারে। অতিরিক্ত তেলে ভাজা রুটি,ভাজি, বা ডিম সিদ্ধ না খেয়ে ভাজি করে খেলে। আবার ভাতের পরিবর্তে বিরিয়ানি, তেহারি, এসব তেল চর্বিযুক্ত খাবার শরীরের ওজন বাড়ে। তাছারা চিনিযুক্ত যে কোনো খাবার যেমন চকলেট, আইসস্ক্রিম, মিষ্টি, লাচ্ছি,ফালুদা,সেমায়, পায়েস, ইত্যাদি খাবার খেলেও ওজন বাড়ে। অনেক মিষ্টি ফলও ওজন বাড়ায় তাই যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তারা মিষ্টি জাতীয় যে কোনো খাবার থেকে দূরে থাকুন। বরং টক জাতীয় খাবার বা ফল খেতে চেষ্টা করুন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে কোনো খাবার পরিমিত খান, বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আবার বেশি ঘুম পরিহার করুন সাথে কম ঘুম থেকে বিরত থাকুন। কেননা অতিরিক্ত ঘুম যেমন শরীরের স্থুলতা আনে অনুরূপ কম ঘুমেও কারো কারো স্থুলতা আনে। তাই রাতে আগে ঘুমিয়ে পড়ুন আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। সাথে আর একটি কথা মনে রাখবেন প্রতিদিন এমন কাজ করুন যাতে আপনার শরীর থেকে ঘাম ঝরে পড়ে। এটা করতে পারলে আপনি হাজারো রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, হার্টের রোগ, থাইরয়েড, গ্যাস্টিক আরো অনেক রোগ থেকে আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবেন।
কি কি খাবার খেলে ওজন কমে
ওজন কমারা জন্য অনেক খাবার আছে তবে সেগুলো কাজ করবে তখন যখন আপনি উপরে উল্লেখিত খাবার ও অভ্যাস পরিহার করবেন। আপনি চিনিও খাবেন সবার ওজন কমানোর দিবা স্বপ্ন দেখবেন তা হবে না। আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি আপনার জিহবার ইচ্ছেতে চলবেন নাকি শরীর কি চায় তা করবেন। অন্যথায় আপনার ওজন কোনো খাবারে কমাতে পারবেনা। সবার আগে আপনাকে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। নিয়মত শরীর চর্চা করতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার ভুলেও খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন শরীরে ঘাম বের করতে হবে। অর্থাৎ কাজ করতে হবে নয়ত দৌড়াতে হবে। আপনি কোনো রিকশা চালককে অতিরিক্ত মোটা পাবেন না। কারণ তারা যা খায় তা কষ্ট কিরে ঘামের সাথে বার্ন করে দেয়। অর্থাৎ তারা যে ঘাম ঝড়িয়ে রিকশা চালায় তার কারণে তাদের শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বিগুলো পুড়ে ঘামের সাথে বের হয়ে যায়। ফলে তাদের ওজন বৃদ্ধি পায় না। পাশা পাশি তারা হাজারো রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
Quran learning basic part-1
কুরআন শিক্ষা কোর্স
ওজন কমাতে যে খাবার গুলো খেতে পারেন।
ভাত, রুটি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার শুধু দুপুরে খাবেন। রাতে ভুলেও ভাত খাবেন না। রাতে একটি ডিম সিদ্ধ করে খেতে পারেন সাথে সালাদ বেশি করে খেয়ে পেট ভরে নিন। যদি এতেও না হয় তবে মুরগী গ্রিল খেতে পারেন। তেল যুক্ত খাবার খাবেন না। সকাল বেলা শাক সব্জি বেশি করে খাবেন। রুটি খেলে সর্বোচ্চ একটা খাবেন। প্রতিবেলায় খাবারের শেষে টক দই বা টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। এতে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কেটে যাবে। ভাত রুটি, পরটা এসব কমিয়ে খাবেন আর সালাদ খিরা শসা এগুলো বেশি বেশি খাবেন। বেগুন ওজন কমাতে কিছুটা সহায়তা করে। আগেই বলেছি মিষ্টি জাতীয় যে কোনো খাবার থেকে দূরে থাকুন। যদি মিষ্টি জাতীয় খাবার ভুলেও খান তবে মনে করবেন আপনার সাধনা বিফলে যাবে। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। ওজন কমাতে চাইলে সাধনা করতেই হবে। আর ওজন কমানো ছাড়া অনেক কিছুই সম্ভব না। অনেক সময় নারীদের বড় বড় সমস্যা দেখা দেয়। বাবু হয় না ইত্যাদি।
আমি একটি কথা এখানে বার বার উল্লেখ করেছি। তা হচ্ছে যতটুকু খাবেন ততটুকু কাজ করবেন। অর্থাৎ শরীর থেকে ঘাম ঝড়াতে হবে। আপনি খাবেন আর ঘুমাবেন এটা কিছুতেই ভালো কাজ নয়। মহান আল্লাহ এই দেহ বা শরীর টা কে অলস রেখে দিতে বানান নি। যিনি যা তৈরি করেন তার জন্য একটি গাইডলাইনও তৈরি করে দেন। যদি সেই গাইডলাইন অনুযায়ী উক্ত জিনিসটা চালানো হয় তবে সেই জিনিসটা ভালো টেকসই হয়। আর যদি তার নিয়ম না মেনে নেজের মত করে চালায় তাহলেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
তাই আসুন আল্লাহ তায়ালার দেয়া জীবনকে তার গাইডলাইন অনুযায়ী পরিচালনা করি। তাহলে আশা করি জটিল রোগ হবে না। নিয়মিত সকাল সকাল ঘুম আর সকাল উঠার অভ্যাস করুন।
আল্লাহ বলেন আমি দিনকে বানিয়ে রিজিক তালাশ করার জন্য আর রাতকে বানিয়েছি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। তাহলে যারা রাত জাগবে তাদের ত ক্ষতি হবেই।
মেডিকেল সাইন্স বলে, মানুষ যখন রাতে ঘুমায় তখন মেরুদণ্ড থেকে একপ্রকার হরমোন বের হয় যা শরীর সুস্থ রাখার জন্য খুবই দরকার। কেউ রাতে জেউ না ঘুমিয়ে ফেবু টুইটারে বা অন্য কোনো কাজে সময় কাটায় তাহলে সে হয়ত দিন দিন পাতলা হবে নয়ত মোটা হবে নয়ত এমন রোগে আক্রান্ত হবে যে ডাক্তাররা এর শেষ খুঁজে পাবেনা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান বা গাইডলাইন অনুযায়ী চলারা তাউফিক দান করুন।
কোন মন্তব্য নেই