সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত

 সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত 

সূরা ওয়াকিয়া,সূরা ওয়াকিয়া পাঠের ফজিলত


পবিত্র কুরআনের অন্যতম ফজিলত পূর্ণ একটি সূরারন নাম হচ্ছে সূরা ওয়াকিয়া। সূরা ওয়াকিয়া পাঠের অনেক ফজিল রয়েছে। কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কিতাবাদী থেকে সূরা ওয়াকিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত উল্লেখ করা হলো।


সূরা ওয়াকিয়া সম্পর্কে তথ্য


সূরা ওয়াকিয়া পবিত্র কুরআনের ৫৬ তম সূরা। সূরা ওয়াকিয়া পবিত্র শহর মক্কায় নাযিল হয়েছে। এই সূরায় মহান আল্লাহর অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। সূরা ওয়াকিয়ার শুরুতে কিয়ামত সংগঠিত হওয়া মৃত্যুর পর আবার জীবিত হওয়ার নিশ্চয়তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া কিয়ামত এর পর পরকালীন জীবন, জান্নাতি জাহান্নামিদের শাস্তি ও নিয়ামাত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 


সূরা ওয়াকিয়া কোরআন শরীফের কত পারায় আছে

  • সূরা ওয়াকিয়া পবিত্র কুরআনের ২৭ পারায় আছে 
  • সূরা ওয়াকিয়া আয়াত সংখ্যা ৯৬টি
  • সূরা ওয়াকিয়ার রুকুর সংখ্যা ৩টি





সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিসের আলোকে 


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ যখন অন্তিম রোগ সজ্জায় সাহিত্য ছিলেন তখন আমিরুল মোমেনীন হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে দেখতে যান। তখন তাদের মধ্যে কিছু কথা হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো। 


হযরত ওসমান গনি: আপনার অসুখটা কি?

হযরত ইবনে মাসউদ: আমার পাপ সমূহই আমার অসুস্থতা! 

হযরত ওসমান গণি: আপনার ইচ্ছে কি?

হযরত ইবনে মাসঊদ: আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি। 

ওসমান গণি : আপনার জন্য কি আমি কোনো চিকিৎসক ডাকব?

হযরত ইবনে মাসউদ :  চিকিৎসক আমাকে রোগাক্রান্ত করেছে।

হযরত ওসমান গনি : আমি আপনার জন্য সরকারি বায়তুল মাল থেকে কোন উপহার বা উপনহুকোন পাঠিয়ে দেবো কি?

হযরত ইবনে মাসউদ : লা হাজাতালী ফি হা ( আমার এর প্রয়োজন নেই)  

হযরত ওসমান : উপহার বা উপঢৌকন গ্রহণ করুন। তা আপনার পর আবার আপনার কথা কন্যাদের  উপকারে আসবে। 

হযরত ইবনে মাসউদ : হয়তো আপনি চিন্তা করছেন কন্যারা দারিদ্র্য ও উপবাসে পতিত হবে কিন্তু আমি  এরূপ চিন্তা করিনা কারন আমি কন্যাদেরকে জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি তারা যেন প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে। আমি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি।

"রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে সে কখনও অভাব বা অনাহারে থাকবে না" 

সুবহানাল্লাহ

তথ্য সূত্র: হাদিসটি হায়হাকি -২৪৯৭, এবং তাফসিরে রুহুল মায়ানি ২/১২৮ আছে।

সূরা ওয়াকিয়া কখন পাঠ করা উত্তম 

আল্লাহর কালাম বা সূরা দিন রাতের যে কোনো সময় পাঠ করা যায়। তবে কিছু সূরা নির্দিষ্ট সময়ে আমল করার প্রতি।গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সূরা ওয়াকিয়া মাগরিবের নামাজের পর পড়া উত্তম।


কোন সূরা কখন পড়া উত্তম


  • সূরা ওয়াকিয়া মাগরিবের নামাজের পর। 
  • সূরা ইয়াসিন ফজরের নামজের পর।
  • সূরা আল-ফাতহ জোহরের পর। 
  • সূরা নাবা আসরের নামাজের পর 
  • সূরা মুলক এশা নামাজের পর। 

সূরা ইয়াসীনের ফযীলত ও গুরুত্ব






কোন মন্তব্য নেই

enot-poloskun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.