কীভাবে সহবাস করলে বেবী হয় , সহবাসের সঠিক সময় নিয়ম
বেবি নিতে চাচ্ছেন , কীভাবে সহবাস করলে বেবী হয় , সহবাসের সঠিক সময় নিয়ম
![]() |
বেবি নিতে চাইলে পড়ুন |
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় kassbd এর দর্শকবৃন্দ! আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আমরা কথা বলব তাদের নিয়ে যারা বাবু নিতে চাচ্ছেন কিন্তু হচ্ছেনা। আশা করি লেখাটি উপকারে আসবে। আগেই বলে নিচ্ছি আমি কোনো ডাক্তার নই। তবে আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা শেয়ার করব। আল্লাহ যদি দয়া করেন হয়ত আপনার জীবনে এই লেখাটি উপকারে আসবে।
সবার আগে আপনি বাবু নেয়ার জন্য মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রস্তুতি নিন। ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে নিন। হয়ত আপনার কোনো জটিল রোগ থাকতে পারে সেটা বাবু পেটে আসার পর জানলে চিকিৎসা করলে বাবুর ক্ষতি হবে। এই পোস্টের মূল বার্তা এটাই। খুব গুরুত্ব দিন ব্যপারটা। আপনার একটি ভুলের কারণে হয়ত আপনার বাবুকে হারাতে হতে পারে।
কখন সহবাস করা উত্তম
যাদের বাবু হচ্চে না তাদের জন্য আসলে উত্তম সময় খোঁজে সহবাস করার সুযোগ নেই বললেই চলে। কারণ ডাক্তাররা তাদেরকে একদিন পর পর সহবাস করতে পরামর্শ দেন। আমরা ডাক্তারকে বলেছিলাম এর ফলে শুক্রাণু দুর্বল হয়ে পড়বে। ডাক্তার বললেন সমস্যা নেই তারপরও ট্রাই করতে থাকুন।
তবে যারা সহবাসের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বলছি। ইসলামিক দৃষ্টিতে সহবাসের উত্তম বা উপযুক্ত সময় হচ্ছে রাতের বেলা। সেটা ভোর রাতে বা একটু ঘুমিয়ে নিয়ে আবার উঠে করা ভালো। কারণ তখন মানুষের সব চিন্তা মাথা থেকে চলে যায় ফলে সহবাসে তৃপ্তি আসে। তাছাড়া মাথায় চিন্তা নিয়ে সহবাস করলে কনসিভ করার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া ইসলামিক দৃষ্টিতে আরো অনেক দিন ও সময় আছে যেগুলোতে সহবাস করা ভালো। এছাড়া স্ত্রী মাসিক থেকে পবিত্র হওয়ার পর নিয়মিত সহবাস করুন আশা করি বেবি হবে। কারণ এই সময়টা নারীর বেশি উর্বর সময়। তবে আবার কেউ কেউ বলেন মাসিক হওয়ার কয়েকদিন আগে উর্বরতা বেশি থাকে। আসলে ডাক্তারদের পর্যালোচনায় যা বুঝেছি এক এক নারীর বৈশিষ্ট্য এক এক রকম। তাই যদি বাবু নিতে চান তাহলে নিয়মিত সহবাস করুন।
কখন সহবাস করা উচিত নয়
স্ত্রীর মাসিক অবস্থায় ভিলেও সহবাস করবেন না। এর ফলে প্রতিবন্ধী সন্তান হতে পারে। তাই সাবধান থাকুন। তাছাড়া খাবার খাওয়ার পর পর সহবাস করা থেকে বিরত থাকুন এতে যৌনশক্তি লোপ পায়। এছাড়া যেদিন অনেক ভারী কাজ করবেন বা টেনশনের কাজ করবেন সেদিন সহবাস থেকে বিরত থাকুন। কোথাও দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার আগের রাতে সহবাস না করাই ভালো। মাথা ব্যথা বা শরীর খারাপ হতে পারে। সর্বপরি নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য রেখে সহবাস করা উচিত অন্যথায় যে কোনো খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে। সহবাস করার সাথে সাথে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে লিংগ ধৌত করা থেকে বিরত থাকুন এর ফলে যৌনশক্তি লোপ পায়। কিছুদিন পর দেখবেন লিংগ তেমন শক্ত হচ্ছে না। বা লিংগের রগ ঝুলে যাবে।
কীভাবে সহবাস করলে বেবি হয়
আসলে যে কোনো ভাবে সহবাস করলেই বাবু হয় যদি বীর্য স্ত্রীর জরায়ুতে পৌছাতে পারে। তবে সহবাস করে কিছুসময় স্ত্রীর উপরে থাকা ভালো এতে বীর্য পৌছতে সহজ হয়।
সহবাস করেও বাবু হচ্ছেনা তবে কি করা উচিত
যদি আপনি সব কিছু ঠিক মত করেও বাবু না হয় তবে মনে করবেন কোনো অসুস্থতা আছে। সেটা আপনার স্ত্রীরও হতে পারে বা আপনার নিজেরও হতে পারে। তাই নিজেরা এত টেনশন না করে ডাক্তার দেখান। যদি কোনো অংগহানী না হয়ে থাকে তবে নিশ্চিত থাকুন ইন শা আল্লাহ আপনাদের বাবু হবে। চিকিৎসা আছে। চিন্তা করে বরং স্বাস্থ্য নষ্ট হবে। অনেক নারী আছে কয়েকমাস চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে কান্না শুরু করে দেয়। এটা ঠিক। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন ডাক্তার দেখান। কোনো কবিরাজ বা তাবিজ টাবিজ করতে যাবেন না। বরং আল্লাহকে ডাকুন। সন্তান দাতা আল্লাহ মাজার নয়। তাই আল্লাহকে ডাকুন আর চেষ্টা করুন।
কি কি কারণে বাবু হয় না
অনেক কারণ আছে বা অসুস্থতা আছে যেগুলোর কারণে বেবি হতে চায় না। সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা মেয়েদের হয়ে থাকে তা হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়া আর অনিয়মিত মাসিক। এই দুইটা কারণে দেখা সুস্থ নারীদেরও বাবু হতে দেরি হয়। তাই ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে সাবধান। আর অনিয়মিত মাসিক হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান। আর ছেলেদের সমস্যা বলতে গেলে একটাই। তা হচ্ছে পুরুত্বের কমতি। বা বীর্যে কীট কমে যাওয়া। সাধারণত ছেলেদের রোগের চিকিৎসা হয় না যদি বীর্য এ কীট একেবারেই বা থাকে। এই সমস্যা সাধারণত হয় যারা মদ পান করে বা সিগারেট খায়। তাই এগুলো থেকে সাবধান।
বেবি হওয়ার জন্য মেয়েদের ঔষধ
এখানে ঔষধের নাম লিখলে আবার অনেকে নিজেই ডাক্তার হয়ে যাবে। তবে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলছি। মাসিকের পর দিন থেকে ডাক্তাররা অভুলেট নামের একটা ঔষধ দিয়ে থাকেন যেন উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এটা কাজ হয় অনেকের। পিজি হাসপাতালে ইনফার্টিলি বিভাগে মাত্র 30টাকার টিকেট কেটে দেখিয়ে আসুন আশা করি লাভবান হবেন। নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
অনিয়মিত মাসিক এর ঔষধ
আগেই বলা ভালো এক এক রোগী এক এক বৈশিষ্ট্য এর হয়ে থাকে। তাই ডাক্তাররা সেভাবেই ঔষধ দিয়ে থাকেন। তাই নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে একটি ঔষধ এর নাম বলে দিচ্ছি যদি প্রচণ্ড ব্যথা হয় তবে ইনফ্লাম নামের ঔষধ টা খেতে পারেন। যাদের অনিয়মিত মাসিক তাদের মাসিক হলে অনেক ব্যথা হয় তারা এই ঔষধ টা খেতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। এটা কিন্তু নিয়মিত মাসিক হওয়ার ঔষধ না। নিয়মিত মাসিক হওয়ার ঔষধ হচ্ছে নরমেন্স। তবে বেশিদিন কোনো ঔষধ খাওয়া ঠিক না।
সব শেষে বলব, যদি শারীরিক ভাবে আপনি ঠিক থাকেন তবে আপনার বেবি হবে তবে একটু দৌড় ঝাপ দিতে হবে। তবে সাবধান ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটা সব রোগের মূল। বাবু না হওয়া, ডায়েবেটিক্স, থাইরয়েডসহ আরো অনেক রোগের কারণ ওজন বেড়ে যাওয়া। তাই বেশি বেশি শরীর চর্চা করুন। সকাল সকাল ঘুমান আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।
আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন।
যদি আপনি আমাদের ব্লগে লেখা পাঠাতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন আমরা আপনার লেখার জন্য আপনাকে সম্মানিত করব।
কোন মন্তব্য নেই