ইউটিউব সমস্যা, আয় ও চ্যানেল নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান

ইউটিউব সমস্যা, আয় ও চ্যানেল নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান 

Youtube problem fixed ceterr , ইউটিউব সমস্যার সমাধান , ইউটিউব ট্রিক্স , ইউটিউব সমস্যা
You tube problem solutions


কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়


ইউটিউব চ্যানেল খোলা অনেক সহজ। যদি আপনার জিমেইল আইডি থাকে তাহলে অটোমেটিকভাবে একটি চ্যানেল আছে। সেটাকে একটু ঘষা মাজা করলেই হয়ে যাবে। আর যদি জিমেইল আইডি না থাকে তাহলে একটি জিমেইল আইডি খুলতে হবে। জিমেইল আইডি খোলার পর ইউটিউবে গিয়ে কর্নারে থাকা প্রোফাইল চেক করুন। সেখানে দেখতে পাবেন আপনার জিমেইল যে নামে খুলেছেন সেই নামেই আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়ে গেছে। সেই নামটা আপনার মন মত পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে তিন মাসের ভিতরে সর্বোচ্চ তিবার পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার আপনার চ্যানেল খোলা শেষ।



কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে হয়


চ্যাবেল খোলার পর পর যদি ভেরিফাই করা না হয় নাম্বার দিয়ে তবে নিজের নাম্বার দিয়ে আগে ভেরিফাই করে নিন। সাথে two step verification চালু করে নিন। যদি আপনি আপনার জিমেইল আইডি তে লগ-ইন করেন তখন একটি কোড পাঠাবে। তখন ঐ কোড ছাড়া আপনি বা অন্য কেউ আপনার জিমেইল আইডি তে লগ-ইন করতে পারবেনা। এটা একটা আপনার জিমেইল আইডির নিরাপত্তা।


ফ্রি কুরআন শিখুন ঘরে বসে, কুরআন শিক্ষা কোর্স ।
learning quran basic part-1




কীভাবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড দিতে হয়



চ্যাবেলের নাম রাখা শেষ এবার ভিডিও আপলোড দিবে। আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে যখন ইউটিউব এ যাবেন তখন উপরে ডান কর্নারের প্রোফাইল নামের আগে দেখতে পাবেন একটি চিহ্ন।এখানে ক্লিক করলে ভিডিও আপলোড দেয়ার অপশন আসবে। মোবাইলের যে কোনো ফাইল থেকে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।



ইউটিউব ভিডিওতে কিভাবে ট্যাগ দিতে হয়



ইউটিউব ভিডিও আপলোড দেয়ার সময় মোবাইলে ২টা অপশন আসে। এক টাইটেল নেইম, আরেকটা হচ্ছে ডেসক্রিপশন নেইম। এগুলো ঠিক মত লিখুন। টাইটেলটা চমৎকার ভাবে দিন। ডেসক্রিপশন এ ভিডিও সম্পর্কে তথ্য লিখে দিন। ইউটিউব ব্যবহার কারীরা যা লিখে সার্চ করতে পারে সে কথাগুলো বর্ণনা লিখার সময় জুড়ে দিন। উল্লেখযোগ্য পাঁচটি শব্দে হ্যাস চিহ্ন ব্যবহার করুন। টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন এ আপনার চ্যানেলের নাম লিখতে ভুলবেন না। অবশ্যই লিখবেন অন্যথায় আপনার চ্যানেল সার্চ করলে আসবেনা।


বলছিলাম কীভাবে ট্যাগ লিখতে হয়। চাইলে ভিডিও আপলোড হয়ে গেলে মোবাইল দিয়ে এডিট টাইটেলে গিয়ে ট্যাগ অপশনে গিয়ে ট্যাগ লিখতে পারেন। বা ইউটিউব স্টোডিও থেকে আপলোড করার সময় ট্যাগ দিতে পারবেন। এছাড়া লেপটপ বা কম্পিউটার হলে ত প্রথমেই ট্যাগ দিতে পারবেন।


ট্যাগ লেখার জন্য এমন বাক্য বা বাক্যাংশ বাছাই করবেন যেটা আপনার ভিডিও এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। অর্থাৎ যে কথা লিখে সাধারণত মানুষ আপনার ভিডিও সার্চ করতে পারে এমন কথাগুলো ট্যাগে লিখুন। ট্যাগ লেখার সময় প্রতি ট্যাগ শেষে অবশ্যই কমা চিহ্ন ব্যবহার করুন।



মোবাইল দিয়ে কীভাবে ইউটিউব ভিডিওতে থাম্বনেইল যুক্ত করবেন



মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিওতে থাম্বনেইল যুক্ত করার সহজ উপায় হচ্ছে ইউটিউব স্টোডিও এপ্সের মাধ্যমে। যে ভিডিওতে থাম্বনেইল যুক্ত করবেন সেই ভিডিও কে এডিট মোডে নিয়ে যান। তার পর দেখতে পাবেন ভিডিও তে থাম্বনেইল যুক্ত করার অপশন দেখাচ্ছে। অতি সহজেই এখান থেকে আপনি ভিডিওতে থাম্বনেইল যুক্ত করতে পারবেন।



ইউটিউব ভিডিও থাম্বনেইল সাইজ কত


সাধারণত ইউটিউব ভিডিওতে থাম্বনেইল ১২৮০*৭২০ সাইজের থাম্বনেইল ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ উচ্চতা হবে ৭২০ আর দৈর্ঘ হবে ১২৮০। Youtube thumbnail size wight 1280* hight 720.


ইউটিউব থাম্বনেইল তৈরি করার সেরা সফটওয়্যার কোনটা


সকল ধরনের ভিডিও বা প্রোফাইলের পিকচার ইত্যাদি যে কোনো পিকচার তৈরি করার জন্য আমার জানা সেরা সফটওয়্যার এর নাম হচ্ছে Thumbnail maker. প্লেস্টোর এ গিয়ে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। এছাড়া আরো অনেক সফটওয়্যার থাকতে পারে। আপনি দেখে নিতে পারেন।



ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর উপায় কি


উপায় একটাই তা হচ্ছে ভালো ভিডিও বানাবেন, ট্যাগ, ডেসক্রিপশন, টাইটেল সুন্দর মত দিবেন আর নিয়মিত কাজ করে যাবেন। এভাবে একবছর কাজ করার পর যদি ফলাফল না আসে তবে কাজের কষ্টের ফলাফল আমি আপনাকে দেব। তবে শর্ত হচ্ছে এমন কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে যার চাহিদা আছে। অর্থাৎ মানুষের চোখে একবার পড়লে সে এটা দেখবে। যদি এমন কাজ করে মানুষকে জোর করে দেখানোর পরেও সে আর ফিরে না তাকায় তবে কোনোদিনই সফল হতে পারবেন না। মানুষের উপকার হয় বা হবে এমন বিষয় নিয়ে কাজ করুন এবং চালিয়ে যান। সফলতা আসবেই।



মনেটিজেশন চালু করার শর্ত কি


আপনি যদি ভালো কাজ করে যান আর আপনার চ্যানেল লাস্ট ১২ মাসে ১হাজার সাবস্ক্রাইবার বাড়ে সাথে ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াটাইম হয় তাহলে আপনি ইউটিউব মনেটাইজ্যাশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলের ভিডিও যদি নিজের হয় এবং ইউটিউব এর কোনো নিয়ম ভঙ্গ না করেন তবে আবেদন করার তিনদিনের মধ্যে মনেটাইজেশন এপ্রুভ হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেলে আপনি এড শো করাতে পারবেন। তার মানে টাকা আয় করা শুরু।



ইউটিউব চ্যানেল এর লোকেশন কোন দেশের নাম দিবেন


যেহেতু ইউটিউব বাংলাদেশের জন্য মনেটাইজেশন দেয় না তাই আপনাকে এমন একটি দেশের লোকেশন দিতে হবে যে দেশের জন্য মনেটাইজেশন দেয়া হয়। আপনি চাইলে ভারত বা আমেরিকা US দিতে পারেন। আমি আমেরিকা না ইউএস দিয়ে চালাচ্ছি।


কীভাবে মনেটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে হয়



যখন সাবস্ক্রাইব +ওয়াচ টাইম ও অন্যান্য শর্ত পূর্ণ হবে তখন আপনার চ্যানেল এর ডলার সাইনটিকে ক্লিক করলেই দেখতে পারবেন চারটি ধাপ দেয়া আছে। আগে সব মেনে রিভিউ করতে দিতে হবে। ২য় এডসেন্স যুক্ত করতে হবে। এডসেন্স আইডি না থাকলে আবেদন করতে হবে।  আইডি ক্রিয়েট হলে পরের কাজ শুরু হবে। সর্বশেষ রিভিউ প্রগ্রেস দেখতে পাবেন। 


ইউটিউব ভিডিওতে রিউজ সমস্যা হলে কি করবেন



কারো ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড দিলে রিউজ ধরা হয় যদি মালিক কপিরাইট ক্লেইম বা স্ট্রাইক না দেন। স্ট্রাইক দিলে ত অবস্থা খারাপ। রিউজ হলে একমাসের জন্য মনেটাইজেশন বন্ধ রাখা হয়। পরে আবার আবেদন করার সুযোগ থাকে।  রিউজ ভিডিও ঠিক করতে আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে। তবে এই কাজগুলো একটা না হলে আরেকটা করে এভাবে ধাপে ধাপে করতে পারেন। যদি আপনার তাড়াহুড়ো না থাকে। আর তাড়া থাকলে যে ভিডিওতে রিউজ সমস্যা হচ্ছে সেটা ডিলেট করে দিন। ঝামেলা শেষ। ভিডিও ডিলিট করা মানে ওয়াচটাইম চলে যাওয়া। তাই অনেকে ভিডিও রেখে কাজ শেষ করতে চান।তাদের জন্য নিচের ধাপগুলো চেষ্টা করে দেখতে বলা হলো।

  • ১) ভিডিও মেটা ডেটা পরিবর্তন করুন। 



ভিডিও মেটা ডেটা কি


ভিডিও মেটা ডেটা হিচ্ছে ভিডিওর থাম্বনেইল,  ভিডিওর টাইটেল, ভিডিওর ট্যাগ, ভিডিওর ডেসক্রিপশন।  এগুলো পরিবর্তন করে আবেদন করে দেখতে পারেন। ভাগ্যবান হলে পেয়ে যেতে পারেন।



  • ২)ভিডিও এডিট করুন

ইউটিউব রিউজ ভিডিও কীভাবে এডিট করে


রিউজ সমস্যা থেকে বাঁচতে ইউটিউব বলেছে ভিডিও এডিট করতে। আর এডিট করতে হবে। এডিট করতে হয় কম্পিউটার দিয়ে। যে ভিডিওটি এডিট করবেন সেটা স্টোডিওতে গিয়ে এডিটে ক্লিক করুন। বাকী কাজ খুব সহজ। তাই নিজেই বুঝবেন।


  • )ভিডিও ডিলিট করুন 

যদি উপরের কাজগুলোতে না হয় তবে হয়ত আপনার জন্য দূর্ভাগ্য। আপনাকে ভিডিও ডিলিট করতে হবে। তবে একটি কথা মনে রাখবেন ইউটিউব কিন্তু সব ভিডিও রিভিউ করেনা। তারা তাদের নোটিসেই বলেছে। সাধারনত তারা সবচেয়ে বেশি ভিউ ভিডিওটা দেখে আর লাস্ট আপলোড করা ভিডিওটা দেখে।তাই এই দুটা ভিডিও ভালো করে ঠিকঠাক করে নিন।তারপর আবেদন করুন।



মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও এডিট করার সেরা সফটওয়্যার কোনটি



মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করলে কম্পিউটারের কোয়ালিটি কোনোদিন আশা করা যায় না। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার অনেক সফটওয়্যার আছে।সেরা বলতে গেলে কানমাস্টার কে বলতে হয় । এছাড়া আছে, You Cut, Action director, Filmora, In shot etc . এছাড়া আরো অনেক আছে। আপনি যেটা দিয়ে ভালো এডিট করতে পারেন সেটাই সেরা।

  • অন্যের চ্যানেলের ভিডিও আপলোড দিয়ে কি মনেটাইজেশন পাওয়া যায়


যদি কপিরাইট না থাকে তবে পাবেন কিন্তু সমস্যা ত থাকবেই। কারণ অন্যের জিনিস চুরি করে আর কয়দিন চলা যায়। মনেটাইজেশন পাওয়ার দুদিনের মধ্যে বন্ধ করে দিবে এটা একশভাগ সিউর থাকেন।



  • যে জিমেইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়েছে সেই জিমেইল দিয়ে কি এডসেন্স খুলতে হবে?



না, আপনি যে কোনো জিমেইল দিয়ে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, একটার বেশি এডসেন্স আইডি খুলবেন না। তাহলে বিপদে পড়বেন একজনের জন্য এডসেন্স একটাই খোলার নিয়ম। একাধিক এডসেন্স খুলে ধরা খাবেন এবং ২ টাই হারাবেন। তাই সাবধান।


ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছি কিন্তু কোনো ভিউ সাবস্ক্রাইবার পাচ্ছিনা কেন



ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ পাওয়ার কিছু উপায় তো আছে। অনেক সময় দেখা যায় যারা নতুন চ্যানেল খুলে তারা বেশি অস্থির হয়ে যায়। চ্যানেল খুলেই ভাবতে থাকে কেন হাজার জ
হাজার ভিউ হচ্ছেন। কেন আমার চ্যানেল এ হাজার হাজার সাবস্ক্রাবার বাড়ছেনা। আপনাদেরই বলছি। অন্তত ছয়মাস সব কিছু ঠিক রেখে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে যান। 

আবারও বলছি নিয়মিত আপলোড করে যেতে হবে এবং বার বার পরিবর্তন করা যাবে না। ট্যাগ, টাইটেল, ডেসক্রিপশন ঠিক মত দিন। নিয়মিত বলতে প্রতি তিনদিন পর পর একটি করে ভিডিও আপলোড দিবেন এবং ভিডিওটি পারলে সাথে সাথে সোসাল মিডিয়াতে বন্ধুদের সাথে শেয়ার দিবেন। বা নিজের আইডি দিয়ে সাথে সাথে দুই একবার দেখতে পারেন। জিমেইল আইডি বেশি থাকলে ওটা দেয়ে দেখুন। চেষ্টা করবেন সবটা ভিডিও দেখার জন্য। আর ভিডিও এমনভাবে বানাবেন যেন একবার কেউ দেখা শুরু করলে অন্তত এক-দুউ মিনিট ভিডিওটা দেখে। অর্থাৎ একমিনিট এর মধ্যে এমন কিছু রাখুন যেন দর্শক ভিড় স্কিপ না করে।


এটা কেন বললাম জানেন?  কারণ ইউটিউব এর যে এলগরিদম আছে সেটা চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও সামনে এনে দেয়। অর্থাৎ যে ভিডিওটা পাবলিশ করার সাথে সাথে কিছু মানুষ দেখে সেটা সার্চ করলে আগে আসে। বা যে ভিডিওটা বেশি সময় মানুষ দেখে সেই ভিডিও তে ইউটিউব অটোমেটিক ভাবে রেকোমেন্ডেড যুক্ত করে। অর্থাৎ অন্য ভিডিওর সামনে আপনার ভিডিও টা দেখাবে। ফলে মানুষ সেটা দেখার পর আপনারটা দেখবে।


অন্যের ইউটিউব ভিডিওতে যদি লগো পরিবর্তন করে নিজের লগো যুক্ত করে আমার চ্যানেলে আপলোড করি তবে কি কপিরাইট স্ট্রাইক দিবে?



এই প্রশ্নও অনেকে করেছেন তাই উত্তর দিলাম। আসলে এক কথায় বললে কোনো বাটপারি বা অন্যের কনটেন্ট চুরি করে কোনো দিন সাকসেসফুল হতে পারবেন না।ইউটিউব এ সফল হতে চাইলে অবশ্যই নিজের ভিডিও আপলোড দিন। অন্যথায় একদিন এমন বাঁশ খাবেন তখন খুব কাঁদবেন আর আফসোস করবেন। সত্যি বলছি। নিজে যা পারেন তা করেন।




একই মোবাইল দিয়ে কি দুইটা ইউটিউব চ্যানেল চালানো যাবে


হ্যাঁ, একই মোবাইল দিয়ে অনেক চ্যানেল চালাতে পারবেন। তবে একই সিম দিয়ে সর্বোচ্চ চারটা জিমেইল আইডি খুলতে পারবেন। কখনও একই চ্যানেল এর ভিডিও একাধিক চ্যানেল এ আপলোড দিবেন না। তাহলে রিউজ সমস্যা হবে। যদিও আপনার কনটেন্ট তবু্ও একাধিক চ্যানেল এ আপলোড দেয়া থেকে বিরত থাকুন। 



আমার নিজের ইউটিউব ভিডিও বা ফেসবুক ভিডিও বা ছবি কি ফেসবুকে বা ইউটিউবে দেয়া যাবে


হ্যাঁ,  যাবে।  আপনার নিজের তৈরি ভিডিও বা ছবি যেমন ফেসবুকে দিতে পারবেন তেমনি ফেসবুকের ভিডিও ইউটিউব এ আপলোড দিতে পারবেন।  এখনও পর্যন্ত এই ব্যপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। তাই উভয় সাইটে কাজ চালিয়ে যান।


কত দিন পর এডসেন্স এর ভেরিফাই পিন আসে?


এটা আসলে তারা যদিও বলে ২ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহ।  পিন আসা মূলত নির্ভর করে আপনার লোকেশন এর উপর ভিত্তি করে। কারণে এটা তো চিঠির মাধ্যমে আসে তাই গ্রামঞ্চলে পৌঁছাতে একটি সময় লাগতে পারে। আপনার এডসেন্স আইডিতে ১০ ডলার পূর্ণ হওয়ার মাসের ১১ তারখেই মূলত আপনার দেয়া ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। এডসেন্স পিন পাঠানোর দিন থেকে চার মাসের মধ্যে যদি আপনি পিন না পান তাহলে আপনাকে অন্য উপায়ে ভেরিফাই করতে হবে নয়ত আপনার সকল চ্যানেল এবং সাইটের এড শো বন্ধ করে দিবে। পিন না আসলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড+ বাড়ি ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পত্রের মাধ্যমে ভেরিফাই করা যায়। তবে আমি এটা করিনি। আমার অভিজ্ঞতা নেই।


ইউটিউব এর আয় কি হালাল 


ভাই এটা আমি বলতে পারবনা। দেশে অনেক মাওলানা মুফতি সাহেবগণ আছেন। তাদের সাথে কথা বলুন। আশা করি সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।


ইউটিউব থেকে এড শো করা ছাড়া আর কি কি উপায়ে আয় করা যায়



মনেটাইজেশন বা এড শো করা ছাড়া আরো অনেকভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যেতে পারে। আমাদের দেশে যদিও তেমন সম্ভব না তবে বাহিরের অনেক ইউটিউবাররা আয় করছে। অন্যভাবে আয় করার জন্য আপনার ভিডিও বা কনটেন্ট একটি বিষয়। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে কাজ করেন এমন বিষয়ের প্রডাক্ট রিভিউ বা প্রোমোট করে সেই কোম্পানি থেকে কমিশনে আয় করতে পারেন। অর্থাৎ যাকে বলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে। অথবা নিজের কোনো প্রডাক্ট প্রমোট করে মানুষের চাহিদানুযায়ী বিক্রি করে আয় করতে পারেন। যেমন অনেকে হাতের কাজ বিক্রি করে, ড্রেস বিক্রি করে। বই বিক্রি করতে পারেন। হোম মেইড ফুড বিক্রি করেন। ইত্যাদি অনেক উপায়ে আয় করতে পারেন। 


ইউটিউব এর জন্য কপিরাইট ফ্রি ছবি ভিডিও কোথায় পাব


অনেক সাইট আছে পেতে পারেন যেমন Pixabay. এছাড়া আরো অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি কপিরাইট ফ্রি কনটেন্ট পেতে পারেন। তবে একেবারে হুবহু এনে আপনার চ্যানেল এ আপলোড দেন তবে কপিরাইট ক্লেইম আসবে। বা একটু বেশি নিলেই ক্লেইম আসবে। তাই কোনো কিছু নিলে প্রপারলি এডিট, কমেন্টারি করুন। নয়ত বিপদে পড়বেন।  সবচেয়ে ভালো নিজের ভিডিও নিয়ে কাজ করা।অন্যের কিছু নিলেই ঝামেলা।


ইউটিউব সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করুন। যে কোনো ইউটিউব চ্যানেল সমস্যার জিন্য মূলত এই পোস্টটি লেখা হয়েছিল। এখন সব সমস্যার কথা আমার মনে পড়ছেনা। তাই আপনারা যখন ইউটিউব চ্যানেল এর সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করবেন তখন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের উত্তর যথাযথ দেয়ার জন্য।



1 টি মন্তব্য:

  1. ভাই, আমার চ্যানেল এর নাম চেঞ্জ করেছি। কিন্তু চ্যানেলে ঢুকলে আগের নাম শো করে।

    উত্তরমুছুন

enot-poloskun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.