জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াতের ফজিলত
জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াতের ফজিলত
পবিত্র কুরআন এর প্রতিটি সূরা তিলাওয়াত এর জন্য আল্লাহ তায়ালা বিশেষ বিশেষ ফজিলত রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা এই কুরআন শরীফ নাজিল করেছেন মানব জাতির কল্যাণ তথা হেদায়েতের লক্ষ্যে। মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা। বিশেষ করে ফজিলতপূর্ণ সূরাগুলো গুরুত্ব দিয়ে বেশি বেশি তিলাওয়াত করা। নিজে তিলাওয়াত করার পাশাপাশি পরিবার বা অধীনস্থ অন্যান্য লোকদের তিলাওয়াতে উৎসাহিত করা। কেননা এর সওয়াব উভয়কে আল্লাহ তায়ালা দান করবেন।
আজকে আমরা সূরা কাহফের কিছু নির্দিষ্ট ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ।
সূরা কাহফের ফজিলত
সূরা কাহফ পবিত্র মক্কায় অবতীর্ণ হয়ে। আয়াত সংখ্যা ১১০টি। সূরা কাহফের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে।
হাদীস শরীফে প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, হজরত আবু সায়ীদ ক্ষুদ্রী রাঃ থেকে বর্ণিত হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে তার জন্য সূরা কাহফ এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত নূর হবে।
হজরত আনাস রাঃ আনাস রাঃ থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে যে, এই সূরাটি আল্লাহ তায়ালা একই সাথে নাযিল করেছে। এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেস্তা দুনিয়াতে আসেন।
হজরত আবু দারদা রাজিঃ থেকে বর্নিত আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে হেফাজত থাকবে।
এছাড়া অনেক হাদিসে সূরা কাহফের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সূরা কাহফ যেভাবে নাজিল হয়েছে যে ব্যক্তি সেভাবে তিলাওয়াত করবে তার জন্য নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত এই সূরা নূর হবে। আর যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শেষ ১০আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দাজ্জাল তার গন্ডির বাহিরে চলে যাবে।
কোন সময় সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা উচিৎ
যেহেতু শুক্রবার বা জুমার দিন এই সূরা তিলাওয়াত করার কথা বলা হচ্ছে সে হিসেবে জুমার আগের পড়ে নেয়া ভালো। সুযোগ না হলে জুমার পর তা তিলাওয়াত করা ভালো। তবে সর্বশেষ আসরের পর বা সূর্য ডুবার গে তিলাওয়াত না করলে আর জুমার দিনের বিশেষ আমল হিসেবে গণ্য হবে।
কোন মন্তব্য নেই