প্রেগন্যান্সির পর শারিরীক সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায়

প্রেগন্যান্সির পর শারিরীক সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায়




মা হওয়াটা যতটা আনন্দের ঠিক ততটাই কষ্টের মা হওয়ার পর মায়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়াটা।তারপরেও মেয়েরা মা হতে চায়।মা হওয়ার পর নিজের সৌন্দর্য নিয়ে হতাশায় ভুগতে থাকে।

ওজন বেড়ে গিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া,আগের মত সুন্দর না লাগায় মায়েদের অনেক দুশ্চিন্তা করতে দেখা যায়।কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললেই প্রেগন্যান্সি পরবর্তী সময়ে নিজের আগের সৌন্দর্য কে ফিরে পাওয়া সম্ভব।
তাই আমরা আজকে আলোচনা করবো কিভাবে নিজের আগের সৌন্দর্য ফিরে পাওয়া যাবে।

★এক্সারসাইজ
বাচ্চা হওয়ার পরপরই এক্সারসাইজ শুরু করবেন না।প্রেগন্যান্সির পর শরীরে আগের মতো হরমোন ফ্লো হতে দিন। ততদিন ব্রেস্টফিডিং ও করাতে হবে।আপনার শরীরের বাড়তি মেদই বাচ্চার দুধ তৈরি করে।সবকিছু আগের অবস্থায় পৌঁছতে তিন মাস সময় লাগবে।তারপর ডাক্তারের কথামতো এক্সারসাইজ শুরু করুন।

★পর্যাপ্ত ঘুম
বাচ্চা হওয়ার পর অনেক মায়েরই রাতে ঘুম হয় না।এই কারনে শরীরের মেদ কমতে চায়না।চেষ্টা করতে হবে যেন রাতে অন্তত ৫-৬ ঘন্টা ঘুম হয়।

★সাপ্লিমেন্ট
ওজন কমানোর সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।কিন্তু বাচ্চাকে ব্রেস্টফিড করানোর সময় কোন ভাবেই এই সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যাবেনা।এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।ব্রেস্টফিডিং বন্ধ হলে খাওয়া যেতে পারে।তবে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে।

★খাবার খাওয়া
একবারে বেশি করে না খেয়ে, অল্প অল্প করে দু'ঘন্টা পর পর খাওয়া ভালো।এতে হজমও ভালো হয়,অতিরিক্ত মেদ ও কমে যায়।

★পানি
পানি খাওয়ার উপকারিতার যেন শেষ নেই।তাই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে,এতে করে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

★ শাকসবজি,ফলমূল
শাকসবজি ও ফলমূল এর গুণের কথা আমরা সবাই জানি।প্রতিদিন শাকসবজি ও ফল খেতে হবে।

★অতিরিক্ত খাবার
প্রেগন্যান্সির সময় অকারনেই বেশি খাবার খাওয়া হয়,এর কারনে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হয়।তাই অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

★নিজের যত্ন
বাচ্চার হওয়ার পর মায়েরা বাচ্চার প্রতি এতটাই মনযোগী হয়ে পড়েন যে নিজের যত্ন নেয়ার কথা ভুলেই যান।বাচ্চা পালন করার সময় থেকেই নিজের জন্য সময় বের করতে হবে।তবেই নিজের আগের সৌন্দর্য ফিরে পেতে পারবে।

★হাসিখুশি থাকা
বাচ্চা পালন করতে গিয়ে মা অনেকটাই ডিপ্রেশনে চলে যায়,সারাক্ষণ শুধু বাচ্চাকে ভালো রাখার চিন্তা,এই চিন্তা থেকে মা খিটখিটে হয়ে যান,হাসতে ভুলে যান।আমরা সবাই জানি হাসিখুশি থাকা ও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলে।

★ঘুরতে যাওয়া
প্রেগন্যান্সি একটা লং জার্নি।এই জার্নিটা পার করতে হয় অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে।তারপর আসে বাচ্চা,বাচ্চা হওয়ার পর মায়ের ঘুম না হওয়া,বাচ্চাকে ভালো রাখার চিন্তা থেকেই একজন মা শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।এর প্রভাব পড়ে মায়ের সৌন্দর্যের উপর।তাই সব কিছু থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম উপায় হচ্ছে ঘুরতে যাওয়া।তাহলে মানসিক প্রফুল্লতা আসবে মনে।

★পারিবারিক সাপোর্ট
প্রেগন্যান্সির সময় এবং পরবর্তী সময় অনেক মায়েরই  বিভিন্ন কারনে মুড সুইং হয়ে থাকে।এজন্য প্রয়োজন পারিবারিক সাপোর্ট। নাহয় এর প্রভাব ও মায়ের সৌন্দর্যের উপর পড়বে।

কোন মন্তব্য নেই

enot-poloskun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.